সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে পিতার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সম্পদের অধিকার দেওয়ার দাবি করেছেন বেসরকারি ইবাইস ইউনিভার্সিটির প্রফেসর নিরু রায়হানের ছেলে অনির্বাণ পৃথিবী বর্ণ। শনিবার (৩ এপ্রিল) সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। এ সময় তার মা সৈয়দা শাহিন আক্তার রুনাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে নিহতের স্ত্রী সৈয়দা শাহিন আক্তার রুনা জানান, নিরু রায়হান ছিলেন বেসরকারি ইবাইস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। পূর্বে তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন। তখন তার নাম ছিলো নিরঞ্জন শীল। ২০০১ সালে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ওই বছর তাদের মধ্যে বিয়ে হয়। তার স্বামীর তিন ভাই, অমল চন্দ্র শীল, বিমল চন্দ্র শীল ও মনোরঞ্জন শীল। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর তাদের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। গত ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল নিরু তার পৈত্রিক বাড়ি বরিশালের উজিরপুর যায়। ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে তাকে দই-চিড়া খেতে দেওয়া হয়। খাওয়ার পর সে বমি করতে থাকে এবং বিকাল পৌনে ৪ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় ধামুরা বাজারে চিকিৎসক ও ক্লিনিক থাকা সত্ত্বেও তাকে কোথাও না নিয়ে ঘরেই রাখা হয়। নিরুর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ছেলেসহ তিনি উজিরপুরে যাওয়ার পূর্বেই মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়। নিরুর সাথে থাকা ভোটার আইডি কার্ড, ব্যাংকের এটিএম কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইউনিভার্সিটির আইডি কার্ড, নগদ ৮০ হাজার টাকা, দুটি ব্যাংকের চেক বই, একটি স্মার্ট ফোন, বাড়ির দলিলপত্র, ঘরের চাবি কোনো কিছু তাকে দেওয়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো দাবি করেন, নিরু বেঁচে থাকতেই তার ভাইয়েরা পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ না দেওয়ার জন্য প্রায়ই হুমকি দিতেন। সম্পত্তির জন্যই তাকে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে দই-চিড়ার সাথে বিষ মিশিয়ে দিয়ে হত্যা করা হয়। এই অভিযোগে তিনি ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তভার বরিশাল সিআইডি পুলিশকে দেয়া হয়। মামলা দায়েরের পর নিরুর ভাই মনোরঞ্জন শীল যুব উন্নয়ন অফিসের চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করতে থাকেন। তারা দেশত্যাগেরও পরিকল্পনা নিয়েছে।
Leave a Reply